মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশনের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল কিন্তু আবারও সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা পাউন্ড কেনার ব্যাপারে আগ্রহী নয়, এবং আমরা ট্রেডারদের এই ধরনের অবস্থানের সাথে পুরোপুরি একমত। ইউরোর মতো, পাউন্ডের মূ্ল্যও দীর্ঘ সময় ধরে কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়াই বৃদ্ধি পেয়েছিল। মার্কেটের ট্রেডাররা দীর্ঘ সময় ধরে একটিমাত্র বিষয়ের উপর মনোনিবেশ করেছিল, অন্য সবকিছু উপেক্ষা করেছিল। এখন আমরা "যৌক্তিক পরিস্থিতির পুনরুদ্ধার" প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করছি, যা আমাদের ধারণা অনুযায়ী এখনো শেষ হয়নি।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুক্তরাজ্যে অক্টোবর মাসের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা এবং ওঠানামার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে এটি চলমান নিম্নমুখী প্রবণতার পরিবর্তন ঘটানোর সম্ভাবনা কম; সর্বোত্তম ক্ষেত্রে, এটি সংক্ষিপ্ত মাত্রায় এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশনের পথ সুগম করতে পারে।
মঙ্গলবার, 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে শুধুমাত্র একটি আকর্ষণীয় ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশনের সময়, মূল্য 1.2680-1.2685 জোন থেকে রিবাউন্ড করেছিল এবং তারপর 1.2613 লেভেলে নেমে আসে। নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন থেকে যে কোনো স্তরে মুনাফা নিতে পারে। তবে, 1.2613 এর নিকটে গঠিত বাই সিগন্যাল বিবেচনা করা হয়নি।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে। মাঝারি মেয়াদে, আমরা পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনাকে পুরোপুরিভাবে সমর্থন করি, কারণ আমরা এটিই একমাত্র যৌক্তিক পরিস্থিতি বলে বিবেচনা করি। স্বল্পমেয়াদে, পাউন্ডের মূল্যের আরেকটি কারেকশনের চেষ্টা করা হতে পারে, তবে এর জন্য উল্লেখযোগ্য সমর্থনের প্রয়োজন। গত বৃহস্পতিবার, জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য পাউন্ডকে তেমন কোনো সমর্থন দেয়নি। গত শুক্রবারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনও পাউন্ডকে তেমন কোন সহায়তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আজ, পাউন্ডের মূল্যের পরবর্তী মুভমেন্ট যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করবে।
বুধবার, নতুন ট্রেডাররা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার আশা করতে পারে, তবে সার্বিক পরিস্থিতি যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করবে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, এখন আপনি1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2754, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993 লেভেলগুলোতে ট্রেড করতে পারেন। বুধবার, শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন ট্রেডারদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে, এটিই সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন। যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন সরাসরি ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতির উপর প্রভাব ফেলে, তাই মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।