Podle zdrojů obeznámených s touto záležitostí chce globální investiční společnost KKR údajně prodat svůj významný menšinový podíl ve filipínské fintech společnosti Maya. KKR, která v současné době vlastní více než 20 % společnosti Maya, pověřila společnost Goldman Sachs prodejem, který by mohl Mayu ocenit na více než 2 miliardy USD. Maya je univerzální peněžní aplikace, která nabízí digitální platební a bankovní služby, včetně plateb účtů, převodů peněz, spoření, investic a kryptoměn. Provozuje Maya Bank, nejlepší digitální banku na Filipínách s 5,4 milionu zákazníků. Společnost Maya nedávno získala 210 milionů dolarů na podporu svého digitálního bankovnictví a dalších služeb, což ji oceňuje na 1,4 miliardy dolarů. KKR původně investovala do společnosti Maya v roce 2018, což znamenalo její první investici soukromého kapitálu na Filipínách. Společnost Maya zaznamenala silný růst, jen v roce 2024 dosáhla zůstatků na vkladech ve výši 39 miliard filipínských pesos (665,87 milionu USD) a 68 miliard pesos ve vyplacených úvěrech.
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পর গত সপ্তাহে ক্রুড অয়েলের দাম ১০ ডলারের বেশি পতনের শিকার হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত অস্থিরতা অব্যাহত ছিল, কারণ মার্কেটে OPEC+ থেকে উৎপাদন বৃদ্ধির খবর ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮১ ডলারের সাম্প্রতিক উচ্চতার অনেক নিচে নেমে যায়।
শুক্রবার গোল্ডম্যান শ্যাক্স তাদের গ্রাহকদের পাঠানো একটি বার্তায় জানিয়েছে যে ২৩ জুন থেকে হেজ ফান্ডগুলো ব্যাপক বিক্রির মাধ্যমে প্রধান সব মার্কেট জ্বালানির কোম্পানির শেয়ার সরিয়ে নিতে শুরু করে। এটি প্রায় এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এবং গত এক দশকে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিক্রয়ের প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তেল, গ্যাস, এনার্জি ইকুইপমেন্ট ও সার্ভিস কোম্পানির শেয়ার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় ছিল। এই বিক্রির প্রবণতা ছিল ব্যাপক, তবে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপে সবচেয়ে তীব্রভাবে বিক্রির প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে ইউরোপে, হেজ ফান্ডগুলো শর্ট পজিশন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে এবং লং পজিশন হ্রাস করেছে—যা তাদের আরও দরপতনের প্রত্যাশার ইঙ্গিত দেয়।
যদিও শর্ট সেলিং কার্যক্রম বেড়েছে, তবে জ্বালানি-ভিত্তিক স্টকগুলোতে সামগ্রিক পজিশনের ভারসাম্য এখনও লং দিকে ঝুঁকে রয়েছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা বিভক্ত অবস্থায় রয়েছে—কেউ কেউ আরও দরপতনের বাজি ধরছে, আবার কেউ পুনরুদ্ধারের আশা করছে।
গোল্ডম্যান শ্যাক্স আরও জানিয়েছে, হেজ ফান্ডের গ্রস লভারেজ, যা মোট মার্কেট এক্সপোজারের একটি সূচক, বর্তমানে গত পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে। এই ব্যাপক বিক্রির মধ্যেও, গত পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে গত সপ্তাহ সবচেয়ে বেশি ইকুইটি ক্রয় করা হয়েছে, কারণ ফান্ডগুলো সুযোগ খুঁজতে আবারও বিশ্ববাজারে সক্রিয় হচ্ছে।
এই সপ্তাহের শুরুতে বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতিতে উন্নয়নের আশাবাদের কারণে ইউরোপের স্টক মার্কেটে ইতিবাচক প্রবণতার সাথে লেনদেন শুরু হয়েছে। GMT সময় 07:14 পর্যন্ত, প্যান-ইউরোপীয় STOXX 600 সূচক ০.২ শতাংশ বেড়ে 544.47 পয়েন্টে পৌঁছায়, যদিও এটি এখনো মাসিক ভিত্তিতে দরপতনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। অন্যান্য প্রধান আঞ্চলিক সূচকগুলোতেও ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম দেখা গেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সেশনে সবচেয়ে বেশি কেনাবেচা হয়েছে ফাইন্যান্সিয়াল, টেকনোলজি ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টরে, যেখানে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দ্রুত বেড়েছে।
গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ায় মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কের উন্নতির আশায় মার্কেটে আবারও আশাবাদের সৃষ্টি হয়। এছাড়া, রবিবার কানাডা ডিজিটাল পরিষেবা কর প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়—যা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্থগিত আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে নেয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যেও কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে ব্রিটেনে উৎপাদিত যানবাহন ও অ্যারোস্পেস কম্পোনেন্টের ওপর শুল্ক হ্রাস বিষয়ক একটি বাণিজ্য চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে। তবে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্কের বিষয়টি এখনও অনিষ্পন্ন রয়েছে।
সবচেয়ে ভালো ফলাফল প্রদর্শন করা খাতগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলো শীর্ষে ছিল, সম্মিলিতভাবে যেগুলোর শেয়ারের দাম প্রায় ১ শতাংশ বেড়েছে। এসটিমাইক্রোইলেট্রনিক্সে শেয়ারের দর ২.৬ শতাংশ বেড়েছে, কারণ জেপি মরগ্যান এই ফ্রাঙ্কো-ইতালিয়ান চিপ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে তাদের ওয়াচলিস্টে যুক্ত করেছে—যা কোম্পানিটির সুদৃঢ় ভবিষ্যত সম্ভাবনা ও আসন্ন ইতিবাচক অনুঘটকের ইঙ্গিত দেয়।
বিনিয়োগকারীরা এখন আজ দিনেরবেলা প্রকাশিতব্য জার্মানি ও ইতালির গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছে। এই প্রতিবেদনের গুলো আগামী দিনগুলোতে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিগত সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত প্রত্যাশায় প্রভাব ফেলতে পারে।