যখন MACD সূচকটি শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে নেমে গিয়েছিল এবং ওভারসোল্ড জোনে ছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2654 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা পাউন্ড ক্রয়ের জন্য একটি সুযোগ তৈরি করেছিল। এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য ২৫ পিপস বৃদ্ধি পায়। তবে, যদি আপনি এই সিগন্যাল মিস করে থাকেন, আপনি 1.2654 এর পরবর্তী টেস্টের সুযোগটি কাজে লাগাতে পারতেন, সেসময়ও MACD সূচকটি শূন্যের নিচে নেমে যেতে শুরু করেছিল, যা পাউন্ড বিক্রির জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য ৩০ পিপসেরও বেশি হ্রাস পায়।
গতকাল যুক্তরাজ্যের কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচকের (CPI) বৃদ্ধির ফলে পাউন্ড সাময়িকভাবে সমর্থন পেয়েছিল, তবে এটি দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে ঘিরে অনিশ্চয়তাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। যদিও এই প্রতিবেদনের ফলাফল বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে শক্তিশালী ছিল, এর ইতিবাচক প্রভাব পাউন্ডের উপর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ট্রেডাররা দ্রুত বুঝতে পেরেছেন যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপ এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতি পরিবর্তনের সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা টেকসই নাও হতে পারে। এছাড়া, যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন নীতিনির্ধারকদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। একদিকে, অতিরিক্ত মুদ্রাস্ফীতি কঠোর মুদ্রানীতির প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করতে পারে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করবে। অন্যদিকে, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ভোক্তাদের উপর চাপ বাড়িয়ে তুলছে, যা ক্রয় ক্ষমতা এবং জনসাধারণের আস্থা হ্রাস করছে।
আজ, বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে সেগুলি কারেন্সি মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না। যুক্তরাজ্যের পাবলিক সেক্টর নেট বরোয়িং এবং CBI ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেন্ডস অর্ডারস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে সম্ভাবনা রয়েছে যে এগুলো মার্কেটে উল্লেখযোগ্য বাজার প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না করে পাউন্ডের উপর সকালবেলার চাপ বজায় রাখতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1:
আজ যখন GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2689-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2569-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2689-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। সামষ্টিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ! কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2:
MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2640-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2659 এবং 1.2689-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1:
আজ এই পেয়ারের মূল্য 1.2640-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলের নিচে নামলে আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2619-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় পাউন্ড বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2:
MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2659-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2640 এবং 1.2619-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।