যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের উল্লেখযোগ্যভাবে নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0355 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে স্পষ্টভাবে সীমিত করেছিল। এই কারণে, আমি ইউরো বিক্রি করিনি। সংক্ষিপ্ত ব্যবধানের পরে 1.0355-এর লেভেলের দ্বিতীয় টেস্ট হয়, সেসময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল, যা পরিকল্পনা #2 অনুযায়ী ইউরো কেনার সুযোগ তৈরি করে। তবে, চার্টে দেখা যাচ্ছে যে এটি কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টে রূপান্তরিত হয়নি, কারণ ইউরোর চাহিদা পুনরায় ফিরে আসেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে, ইউরোপীয় দেশগুলোর অর্থনীতি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা ট্রাম্পের নীতি থেকে উদ্ভূত ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক রয়েছেন, যা ডলারের শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে। এটি ইউরোর ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে, যা ইতোমধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর সঙ্গে লড়াই করছে। আজকের ZEW থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উল্লিখিত পরিস্থিতি নিশ্চিত করেছে:
মার্কিন সেশনে, বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ আবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবৃতি এবং সিদ্ধান্তগুলোর দিকে থাকবে, কারণ অন্য কোনো বড় অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান প্রকাশিত হওয়ার কথা নেই। নতুন প্রশাসনের প্রতিটি মন্তব্য সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আজকের ট্রেডিং কৌশল হিসেবে পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2-এর উপর মনোযোগ দিন।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0417-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0372-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0417-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। শুধুমাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন কোন মন্তব্যের প্রভাবে আজ ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0342-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0372 এবং 1.0417-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0342-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0308-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। যেকোন সময় এই পেয়ারের উপর বিক্রির চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0372-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0342 এবং 1.0308-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
ফরেক্স মার্কেটে নতুন ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে, মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে মার্কেটের বাইরে থাকাই ভাল। আপনি যদি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেড করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে ক্ষতি কমাতে সর্বদা স্টপ অর্ডার সেট করুন। স্টপ অর্ডার না সেট করলে আপনি খুব দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট হারাতে পারেন, বিশেষ করে যদি আপনি মানি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার না করেন এবং বড় ভলিউমে ট্রেড করেন।
এবং মনে রাখবেন সফলভাবে ট্রেড করার জন্য আপনার ট্রেডিংয়ের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে, ঠিক যেমনটি আমি এই নিবন্ধে নির্ধারণ করেছি। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্ত দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা যেকোন নতুন ট্রেডারের জন্য সহজাতভাবে ক্ষতির কারণ হতে পারে।