সোমবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই—না যুক্তরাষ্ট্রে, না ইউরোজোনে, না জার্মানিতে, না যুক্তরাজ্যে। তাই, ধরুন যদি ট্রেডাররা আজ মার্কেটের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুসরণ করতে চায়ও, বাস্তবিক অর্থে আজকের জন্য তেমন কিছু নেই। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও কেবলমাত্র "ট্রাম্পের পদক্ষেপের" ওপর ভিত্তি করেই ট্রেড করছে। অন্তত এখন ইউরোর মূল্যের ফ্ল্যাট প্রবণতা দেখা যাচ্ছে (সংবাদ প্রত্যাশায়), আর ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য কোনো স্পষ্ট কারণ বা ভিত্তি ছাড়াই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে।
ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ বাদে অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার তেমন প্রয়োজন নেই। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ানো অব্যাহত রাখেন, তবে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। আমরা ট্রেডারদের পরামর্শ দেব যে তারা যাতে বড় বড় দেশ এবং জোটগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের শুল্ক সংক্রান্ত মন্তব্যের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখেন। যেকোনো রকম উত্তেজনা বৃদ্ধির ইঙ্গিত নতুন করে ডলার বিক্রির প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে, আবার শান্তিপূর্ণ সমাধানের ইঙ্গিত ডলারকে শক্তিশালী করতে পারে।
গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেমিকন্ডাক্টরের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন, যা বৈশ্বিকভাবে বহু দেশকে প্রভাবিত করেছে। চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সংঘাত এখনও নিষ্পন্ন হয়নি এবং এটি মার্কেটের ট্রেডারদের মূল উদ্বেগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পাশাপাশি, ট্রাম্প আবারও সুদের হার কমাতে ফেডারেল রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন, এমনকি তিনি জেরোম পাওয়েলকে বরখাস্ত করার হুমকিও দিয়েছেন—যদিও তার সে ধরনের সাংবিধানিক ক্ষমতা নেই। বুধবার সন্ধ্যায় ফেডের চেয়ারম্যান স্পষ্ট করে বলেছেন, সুদের হার হ্রাসের জন্য স্পষ্ট সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তি দরকার, যা বর্তমানে অনুপস্থিত। স্পষ্টতই ট্রাম্প এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। যেমন আমরা দেখছি, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য আত্মবিশ্বাসের সাথে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, অথচ ইউরো এখনো ফ্ল্যাট অবস্থায় রয়েছে। আজ যদি মার্কেটে আলোড়ন সৃষ্টি করার মতো কোনো খবর আসে, তাহলে তা একমাত্র হোয়াইট হাউস থেকেই আসতে পারে। ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি না এলে, বর্তমানে উভয় কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিস্থিতি পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।