বিশ্লেষণী পর্যালোচনা

ফরেক্সমার্টের বিশ্লেষণী পর্যালোচনা ফরেক্স মার্কেটের সর্বশেষ টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ সরবরাহ করে। এই প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে স্টক মার্কেট প্রবণতা, আর্থিক পূর্বাভাস, বৈশ্বিক আর্থিক পর্যালোচনা এবং বাজারে প্রভাব বিস্তার করতে পারে এমন রাজনৈতিক সংবাদ।

Disclaimer:  ফরেক্সমার্ট বিনিয়োগের পরামর্শ দেয় না এবং সরবরাহিত বিশ্লেষণগুলি ভবিষ্যতের ফলাফলের প্রতিশ্রুতি হিসাবে গণ্য করা উচিত নয়

ট্রাম্পের পদক্ষেপে জার্মানিতে উদ্বেগ
04:35 2025-07-15 UTC--5

যদিও ইউরোর দর তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ এতটা আত্মবিশ্বাসী নন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩০% শুল্ক আরোপের হুমকি সরাসরি জার্মান অর্থনীতির মূল ভিত্তিতে আঘাত হানবে এবং ইউরোপের বৃহত্তম রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এ কারণেই তিনি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন।

প্রজ্ঞামূলক নীতির জন্য পরিচিত এবং জার্মান ব্যবসায়িক স্বার্থকে প্রাধান্যদাতা মার্জ বলেছেন, এই মাত্রায় শুল্ক আরোপ করা হলে তা জার্মান অর্থনীতির জন্য ধ্বংসাত্মক হবে—বিশেষ করে অটোমোবাইল ও যন্ত্র প্রকৌশল খাতের জন্য, যেগুলো ঐতিহ্যগতভাবে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে বাণিজ্য যুদ্ধের আরও বিস্তার রোধ করা যায়।

সরাসরি অর্থনৈতিক প্রভাব ছাড়াও, মার্জ রাজনৈতিক পরিণতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি সতর্ক করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ ট্রান্সআটলান্টিক সম্পর্ককে দুর্বল করতে পারে এবং সামগ্রিকভাবে পশ্চিমা বিশ্বের মিত্রতা হুমকির মুখে পড়তে পারে—বিশেষ করে বর্তমানে ভয়াবহ ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে।

দেশটির চ্যান্সেলর আরও বলেন, জার্মানি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গঠনমূলক সংলাপের জন্য প্রস্তুত, তবে অর্থনৈতিক স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন কোনো ছাড় দেওয়ার পক্ষে নয়। তিনি উভয় পক্ষকে একটি আপসহীন পথ অনুসন্ধানের আহ্বান জানান, যা ধ্বংসাত্মক বাণিজ্য যুদ্ধ এড়াতে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।

সাক্ষাৎকারে মার্জ বলেন, "যদি এটা বাস্তবায়িত হয়, তাহলে জার্মান সরকারকে কিছু অর্থনৈতিক উদ্যোগ পিছিয়ে দিতে হতে পারে। এটা অন্যান্য সব কিছু ছাপিয়ে যাবে এবং জার্মান রপ্তানি খাতের মূল কাঠামোকে আঘাত করবে।" মার্জ আরও জানান, তিনি অন্যান্য ইইউ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করছেন যাতে এমন উচ্চমাত্রার শুল্ক কার্যকর না হয়। এই রক্ষণশীল নেতা বলেন, "এর জন্য প্রয়োজন দুটি বিষয়: ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরে ঐক্য এবং আমেরিকান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শক্তিশালী যোগাযোগ।"

যখন মার্জকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে জার্মানি কি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ককে সমর্থন করে, তখন তিনি বলেন: "হ্যাঁ, তবে ১ আগস্টের আগে নয়।" তিনি জানান, এই বিষয়টি তিনি সপ্তাহান্তে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইয়েনের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছেন এবং শুক্রবার ট্রাম্পের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন।

মার্জ বলেন, "আমরা এই সময়টিকে—আগস্টের আগে এই আড়াই সপ্তাহকে—সমাধান খোঁজার জন্য ব্যবহার করতে চাই, আমি এই বিষয়ে সত্যিই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"

উল্লেখ্য যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার পাল্টা প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপ স্থগিতের মেয়াদ ১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে, যাতে আরও আলোচনা চালানো যায়। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের পাল্টা শুল্ক প্যাকেজ ইতোমধ্যে প্রস্তুত রয়েছে।

বর্তমানে EUR/USD-এর টেকনিক্যাল চিত্র:
ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1700 লেভেলে পুনরুদ্ধারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। কেবল এই লেভেলে পুনরুদ্ধার হলেই 1.1720-এর লেভেল টেস্ট করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1750 লেভেলে পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া তা করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1790-এর সর্বোচ্চ লেভেল। যদি দরপতন ঘটে, তাহলে মূল্য 1.1660 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের প্রবণতা দেখা যেতে পারে। সেখানে যদি ক্রেতারা সক্রিয় না হয়, তাহলে 1.1625-এর সর্বনিম্ন লেভেল পর্যন্ত দরপতনের জন্য অপেক্ষা করা যেতে পারে অথবা 1.1595 লেভেল থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে।

বর্তমানে GBP/USD-এর টেকনিক্যাল চিত্র:
পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমে এই পেয়ারের মূল্যের 1.3455-এর রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.3490-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারে, যদিও মূল্যের ওই লেভেলের ওপরে উঠা পারা কঠিন হবে। বুলিশ প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3530-এর লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে বিক্রেতারা মূল্যকে 1.3410-এর লেভেলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তাহলে মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করে GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3375-এর সর্বনিম্ন লেভেল পর্যন্ত নেমে যেতে পারে এবং আরও দরপতনের ক্ষেত্রে মূল্যের 1.3346 লেভেলের দিকে ধাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

1
প্রতিক্রিয়া

ForexMart is authorized and regulated in various jurisdictions.

(Reg No.23071, IBC 2015) with a registered office at First Floor, SVG Teachers Co-operative Credit Union Limited Uptown Building, Corner of James and Middle Street, Kingstown, Saint Vincent and the Grenadines

Restricted Regions: the United States of America, North Korea, Sudan, Syria and some other regions.


© 2015-2025 Tradomart SV Ltd.
Top Top
ঝুঁকি সতর্কতা:
ফরেক্স এক্সচেঞ্জ অত্যন্ত অনুমানভিত্তিক এবং জটিল প্রকৃতির এবং এটি সকল বিনিয়োগকারীদের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। ফরেক্স ট্রেডিংয়ের ফলে লাভ বা ক্ষতি হতে পারে। অতএব, অর্থ হারালে আপনি যদি তার যোগান দিতে না পারেন তাহলে সেটি বিনিয়োগ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ফরেক্সমার্টের প্রদত্ত সেবাগুলো ব্যবহার করার আগে, দয়াকরে ফরেক্স ট্রেডিং সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে জানুন। প্রয়োজনে আর্থিক পরামর্শ নিন। দয়াকরে মনে রাখবেন যে অতীত অভিজ্ঞতা বা ভবিষ্যত পূর্বাভাস কোন কিছুই ভবিষ্যতের ফলাফলের নিশ্চয়তা প্রদান করে না।
ফরেক্স এক্সচেঞ্জ অত্যন্ত অনুমানভিত্তিক এবং জটিল প্রকৃতির এবং এটি সকল বিনিয়োগকারীদের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। ফরেক্স ট্রেডিংয়ের ফলে লাভ বা ক্ষতি হতে পারে। অতএব, অর্থ হারালে আপনি যদি তার যোগান দিতে না পারেন তাহলে সেটি বিনিয়োগ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ফরেক্সমার্টের প্রদত্ত সেবাগুলো ব্যবহার করার আগে, দয়াকরে ফরেক্স ট্রেডিং সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে জানুন। প্রয়োজনে আর্থিক পরামর্শ নিন। দয়াকরে মনে রাখবেন যে অতীত অভিজ্ঞতা বা ভবিষ্যত পূর্বাভাস কোন কিছুই ভবিষ্যতের ফলাফলের নিশ্চয়তা প্রদান করে না।