Mezinárodní agentura pro energii (IEA) ve čtvrtek uvedla, že ekonomické vlivy v kombinaci s rekordním prodejem elektromobilů (EV) sníží růst globální poptávky po ropě na 650 000 barelů denně (bpd) po zbytek roku 2025.
Tímto tempem se růst poptávky zpomalí z 990 000 barelů denně, které IEA naměřila v prvním čtvrtletí letošního roku, uvedl pařížský dohledový orgán ve své květnové zprávě o trhu s ropou.
„Očekává se, že zvýšená obchodní nejistota zatíží světovou ekonomiku, a tím i poptávku po ropě,“ uvedla IEA.
IEA zvýšila svůj odhad průměrného růstu poptávky pro rok 2025 jako celek na 740 000 barelů denně, což je o 20 000 barelů denně více než v předchozí zprávě. V roce 2026 pak vidí průměrný růst globální nabídky na úrovni o něco vyšší, a to 760 000 bpd.
IEA zvýšila odhad růstu poptávky v roce 2025 z důvodu očekávaného vyššího hospodářského růstu a nižších cen ropy, které podporují spotřebu a kompenzují slabší dovoz z rozvojových zemí a zejména z Indie, uvedla agentura.
বুধবার ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) ক্রুড অয়েলের তীব্র দরপতন হয়েছে, যার ফলে আগের তিন দিন যেটুকু মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছিল তার সবটুকুই হ্রাস পেয়েছে এবং বিভিন্ন মৌলিক কারণে এটির মূল্য নভেম্বর মাসের সর্বনিম্ন লেভেলে পৌঁছে গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী শাটডাউন খুব শীঘ্রই শেষ হচ্ছে—এমন প্রত্যাশা ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। এই তথ্য বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে এবং মুনাফা গ্রহণের সুযোগ তৈরি করছে।
বর্তমানে মার্কিন সরকারি ঋণ নিয়ে কংগ্রেসে আলোচনা চলছে—যেখানে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে একটি আইনের ওপর ভোট দেওয়ার কথা রয়েছে, যার মাধ্যমে মার্কিন সরকারি কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হবে এবং ফেডারেল সংস্থাগুলো তাদের কার্যক্রম আবার শুরু করতে পারবে।
এই অগ্রগতি স্বল্পমেয়াদে ঝুঁকি কমিয়েছে, বিশ্ববাজারে ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি করেছে এবং ডলারের মূল্য খানিকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণত ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেলে তেলের মূল্য কমে যায়, কারণ এতে বিদেশি ক্রেতাদের জন্য এটি তুলনামূলকভাবে আরও ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে।
এছাড়াও, তেলের অতিরিক্ত সরবরাহ মূল্যের পুনরুদ্ধারে বাধা সৃষ্টি করছে। ওপেকের অক্টোবর মাসের মাসিক অয়েল মার্কেট রিপোর্ট (MOMR) অনুযায়ী, ২০২৫ সালে বৈশ্বিক পর্যায়ে তেলের চাহিদা প্রতিদিন 1.3 মিলিয়ন ব্যারেল (mb/d) হারে বাড়বে—এই পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে মোট চাহিদা গড়ে 105.1 mb/d হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, নন-ওপেকভুক্ত দেশ যেমন—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, কানাডা এবং আর্জেন্টিনায় ২০২৬ সালে তেল উৎপাদন প্রতিদিন 0.6 মিলিয়ন ব্যারেল পর্যন্ত বাড়তে পারে। একই সময়ের মধ্যে ওপেকের সদস্য দেশগুলোর নিজস্ব তেলের চাহিদার পূর্বাভাস সামান্য হ্রাস পেয়ে ৪৩ মিলিয়ন ব্যারেল প্রতিদিন হবে, যা আগের পূর্বাভাসের চেয়ে ১ লাখ ব্যারেল কম।
ট্রেডিংয়ের কার্যকর সুযোগের জন্য ট্রেডারদের যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (EIA)-এর সাপ্তাহিক তেলের মজুদ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে নজর রাখা উচিত। ছুটির কারণে এই প্রতিবেদন বৃহস্পতিবারে প্রকাশিত হবে। প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, তেলের মজুদ ১ মিলিয়ন ব্যারেল বাড়তে পারে, যেখানে গত সপ্তাহে এটি ৫.২ মিলিয়ন ব্যারেল বেড়েছিল।
টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, দৈনিক চার্টে অসিলেটরগুলো নেগেটিভ সিগন্যাল দিচ্ছে। যদি ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) ক্রুড অয়েলের দর 58.75 লেভেলে ধরে রাখা না যায়, তাহলে দ্রুত 58.00-এর রাউন্ড ফিগারের দিকে দরপতন হতে পারে এবং নভেম্বরে নতুন সর্বনিম্ন লেভেলে নেমে যেতে পারে। এরপর পরবর্তী সাপোর্ট হিসেবে 57.40 লেভেলকে বিবেচনা করা যেতে পারে, এবং সেখান থেকে মূল্য ধীরে ধীরে অক্টোবর মাসের সর্বনিম্ন লেভেল, অর্থাৎ 56.00-এর রাউন্ড লেভেলের দিকে নামতে পারে।