বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, যদিও এই মূল্য বৃদ্ধির জন্য কোন মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ ছিল না। সপ্তাহের শুরুতে, মার্কেটের ট্রেডাররা যুক্তরাজ্যে মজুরি, বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কিত প্রতিবেদনগুলো "উপেক্ষা" করেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে, বৃহস্পতিবার, তারা হয় এই প্রতিবেদনগুলোর প্রতি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে অথবা কোনও স্পষ্ট যৌক্তিকতা ছাড়াই কেবল পাউন্ড ক্রয় করেছে। বর্তমানে, এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট অযৌক্তিক বলে মনে হচ্ছে, তবে পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার প্রাথমিক কারণটি বেশ স্পষ্ট: দৈনিক টাইমফ্রেমে কারেকশন হওয়া দরকার।
আজ, যুক্তরাজ্যে কমপক্ষে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে যাচ্ছে, পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনটি উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এর ফলে, সারা দিন মার্কেটে বিশৃঙ্খল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, যা কারেকশনের সময় স্বাভাবিক। আমাদের মতে, এই পর্যায়ে ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য ইতোমধ্যেই অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। অতএব, আমরা আজ দরপতনের প্রত্যাশা করছি, যদি না যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচকগুলো অপ্রত্যাশিতভাবে শক্তিশালী ফলাফল প্রদান করে।
বৃহস্পতিবার ৫ মিনিটের চার্টে মাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে, এবং এমনকি এটিকে সঠিক সিগন্যাল হিসেবে বিবেচনা করাও কঠিন ছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, এই পেয়ারের মূল্য 1.2613 লেভেলে উঠেছিল, এবং তারপরে, মূল্য পরবর্তী ৬ বা ৭ ঘন্টা পরবর্তী দিক নির্ধারণের জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছিল। যাইহোক, এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনাই বেশি ছিল এবং দিনের শেষে, পাউন্ডের মূল্য আরও ৪০ পিপস বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে, আবারও বলতে চাই সিগন্যালটি স্পষ্ট এবং সেরা ছিল না।
প্রতি ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, স্বল্পমেয়াদে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে; তবে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পরিলক্ষিত সাম্প্রতিক মুভমেন্ট দৈনিক টাইমফ্রেমে একটি বৃহত্তর কারেকশনের অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মাঝারি মেয়াদে, আমরা এখনও 1.1800-এর দিকে পাউন্ডের দরপতনের পূর্বাভাস দিচ্ছি, যা সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত পরিস্থিতি বলে মনে হচ্ছে। অতএব, দৈনিক টাইমফ্রেমে ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের সমাপ্তির জন্য অপেক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শুক্রবার, নতুন করে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই টানা ছয় দিন ধরে এই পেয়ারের মূল্য বেড়েছে, তারপরে তিন দিন কনসলিডেশন হয়েছে এবং সম্প্রতি আরও একবার মূল্য বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে। তবুও, স্বল্পমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে প্রতিবেদনের এবং ইভেন্টের ফলাফল বিবেচনা করা ছাড়াই ট্রেড করছে।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলোর উপর ভিত্তি করে ট্রেড করা উচিত: 1.2164–1.2170, 1.2241–1.2270, 1.2301, 1.2372–1.2387, 1.2445, 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680–1.2685, 1.2723, এবং 1.2791–1.2798। শুক্রবার, যুক্তরাজ্যে বিজনেস অ্যাক্টিভিটি ইনডেক্স এবং রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, বিজনেস অ্যাক্টিভিটি ইনডেক্স এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে। এই ছয়টি প্রতিবেদনই মার্কেটে সামান্য হলেও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।