যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1684 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমাবদ্ধ করেছে। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রি করিনি। 1.1658 লেভেলে একটি বাউন্সের ভিত্তিতে বাই ট্রেড ওপেন করে আমি প্রায় ১৫ পিপস মুনাফা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি।
শুক্রবার প্রকাশিত ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল ইউরোর দরবৃদ্ধিতে খুব একটা সহায়ক হয়নি। এখন ট্রেডারদের দৃষ্টি জার্মানির উৎপাদক মূল্য সূচক এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে স্থানান্তরিত হয়েছে। পাশাপাশি, আজ জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জোয়াকিম নাগেল-এর একটি বক্তৃতাও অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে।
জার্মানির উৎপাদক মূল্য সূচকের বৃদ্ধি প্রায়শই ভোক্তা মূল্য সূচকের বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়, যা সরাসরি ইসিবির আর্থিক নীতিমালাকে প্রভাবিত করতে পারে। এই পরিসংখ্যানগুলোর মাধ্যমে জার্মানির উৎপাদন খাতের বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যতে মুদ্রাস্ফীতির গতিপথ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
ইসিবির কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স ইউরোজোনের বর্তমান লেনদেনের অধীনে আসা এবং যাওয়া আর্থিক প্রবাহের পার্থক্যকে নির্দেশ করে। পজিটিভ ব্যালেন্স বেশি পরিমাণ রপ্তানি ও বিনিয়োগ প্রবাহের ইঙ্গিত দেয়। এই প্রতিবেদন বিশ্ববাজারে ইউরোজোনের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা ও গঠনমূলক শক্তি বা ভারসাম্যহীনতা মূল্যায়নে সহায়তা করে। দুর্বল ফলাফল সাময়িকভাবে ইউরোর উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
বুন্ডেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জোয়াকিম নাগেলের বক্তৃতা সাধারণত মার্কেটের ট্রেডারদের বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করে থাকে। তিনি বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কিত প্রত্যাশা এবং ইসিবির নীতিমালার বিষয়ে যা কিছু উল্লেখ করবেন, তা ইউরোর বিনিময় হার এবং ট্রেডারদের মনোভাবকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের ভিত্তি করে কোনো সম্ভাব্য নীতিগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত থাকলে, ট্রেডাররা তা নিবিড়ভাবে বিশ্লেষণ করবেন।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা ১ এবং ২ অনুসরণ করার পরিকল্পনা করেছি।
পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1703-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1677-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1703-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1653-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1677 এবং 1.1703-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1653-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1625-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1677-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1653 এবং 1.1625-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।