বুধবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে। যুক্তরাজ্য এবং ইউরোজোনে অক্টোবর মাসের মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে ব্রিটিশ প্রতিবেদনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, ইউরোজোনের প্রতিবেদনটি অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইউরোপীয় মূল্যস্ফীতি সাধারণত দুটি ধাপে প্রকাশিত হয় এবং দ্বিতীয় অনুমানের পরিসংখ্যান খুব কম ক্ষেত্রেই প্রথম অনুমান থেকে ভিন্ন হয়ে থাকে, ফলে মার্কেটের ট্রেডাররা সাধারণত এটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে না। এদিকে, যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন একবারই প্রকাশিত হয় এবং সাম্প্রতিক সময়ে এটি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতির ওপর ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করছে। অক্টোবরের প্রতিবেদন অনুযায়ী বার্ষিক ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার ০.১–০.২% হারে কমে যেতে পারে, যার ফলে গত পাঁচ মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো দেশটির মূল্যস্ফীতি হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে। মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেলে ডিসেম্বরের বৈঠকে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মূল সুদের হার হ্রাস করতে পারে, এবং যদি ট্রেডাররা আবার মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনীতির উপাদানগুলো দ্বারা প্রভাবিত হতে শুরু করে, তাহলে ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য সেটি একপ্রকার চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে।

বুধবার বেশ কিছু ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত আছে। এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হলো—ফেডারেল রিজার্ভের সর্বশেষ বৈঠকের মিনিট বা কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে। তবে এটি একটি আনুষ্ঠানিক নথি মাত্র। সাধারণত এই নথিতে যেসব তথ্য থাকে, সেগুলো বৈঠকের পরপরই তিন সপ্তাহ আগে থেকেই মার্কেটে সহজলভ্য হয়ে যায়। মনে রাখতে হবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তাদের বৈঠক শেষে গুরুত্বপূর্ণ ফলাফলগুলো ঠিক সেদিনই প্রকাশ করে থাকে এবং মার্কেটে তখনই সেগুলো সহজলভ্য হয়ে ওঠে। কার্যবিবরণীতে বেশিরভাগ সময় ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির সদস্যদের মনোভাব, মূল্যস্ফীতি, সামগ্রিক অর্থনীতি এবং শ্রমবাজার সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত উল্লেখ করা হয়। তাই, এই ইভেন্ট নিয়ে আমরা মার্কেটে কোনো বড় ধরণের প্রতিক্রিয়ার প্রত্যাশা করছি না। ফেডের ডিসেম্বরের মুদ্রানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত মূলত আসন্ন শ্রমবাজার, বেকারত্ব এবং মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোর ওপর নির্ভর করবে।
সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিং, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। ইউরোর জন্য 1.1571–1.1584 একটি চমৎকার ট্রেডিং এরিয়া হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য প্রাসঙ্গিক দুটি ট্রেডিং এরিয়া হলো: 1.3096–1.3107 এবং 1.3203–1.3211। আজ ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের কিছুটা প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট শুরু হতে পারে, কিন্তু ইউরোর ক্ষেত্রে সে সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে বেশ কম।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।