বুধবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা গেছে, যদিও এই ধরণের মুভমেন্টের জন্য খুব বেশি শক্তিশালী কারণ বিদ্যমান ছিল না। দিনের একমাত্র উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেকসই পণ্যের অর্ডার প্রকাশিত হয়েছে, যেটির ফলাফল ইতিবাচক এসেছে এবং এর ফলে ডলারের দর কিছুটা বেড়েছে। অপরদিকে, যুক্তরাজ্যের ২০২৬ সালের জন্য প্রকাশিত চূড়ান্ত বাজেট খসড়াকে সুস্পষ্টভাবে ইতিবাচক বলা যাচ্ছে না (যদিও এটিকে কিছুটা আশাব্যঞ্জক হিসেবে দেখা যেতে পারে)। তবুও, দিনের শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বেড়েছিল। আমরা পূর্বেও একাধিকবার সতর্ক করে বলেছি যে, বিগত দুই মাসে GBP/USD পেয়ারের যে পরিমাণ দরপতন হয়েছে তা অনেকাংশেই অযৌক্তিক ছিল। সহজভাবে বললে, যদি এই দরপতন তার অর্ধেক পরিমাণ হতো, তবে সেটিই অধিক যৌক্তিক মনে হতো। বিভিন্ন কারণেই পাউন্ডের দরপতন হয়েছে, আবার অনেক সময় কোনো কারণ ছাড়াই এর দরপতন হয়েছে। গত দুই মাসে মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির পক্ষে মধ্যমেয়াদে কোনো নতুন কারণ তৈরি হয়নি। উপরন্তু, দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিদ্যমান, তাই যেকোনো পরিস্থিতিতেই আমরা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করছিলাম। এটি হতে পারে সেই মুহূর্ত, যখন পুনরায় বৈশ্বিক পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হচ্ছে।

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, গতকাল কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, কিন্তু সামষ্টিক ও মৌলিক প্রেক্ষাপটের কারণে এই পেয়ারের মূল্য বিভিন্ন দিকে ওঠানামা করেছে, ফলে সেগুলোর কার্যকারিতা খুব একটা প্রত্যাশা অনুযায়ী ছিল না। এই পেয়ারের মূল্য 1.3203-1.3211 এরিয়া থেকে দুইবার রিবাউন্ড করে, যার মধ্যে দ্বিতীয় রিবাউন্ড থেকে প্রাপ্ত সিগন্যাল ভুল প্রমাণিত হয় এবং পরে মূল্য এই এরিয়ার ওপরে উঠে যায়। কার্যত, কেবল তৃতীয় ট্রেডিং সিগন্যালটি লাভজনক ছিল, অন্যদিকে প্রথম ট্রেডটি ব্রেকইভেনে ক্লোজ হয়।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের আরেকটি নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে এবং এখন নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি, এটি এর আগে ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে পরিলক্ষিত অন্যান্য স্বল্পস্থায়ী প্রবণতাগুলোর মত দ্রুত শেষ হবে না। যেমনটা আমরা আগেও উল্লেখ করেছি, দীর্ঘমেয়াদে ডলারের দর বৃদ্ধির পক্ষে বৈশ্বিক পর্যায়ে কোনো ভিত্তি নেই, সুতরাং, মধ্যমেয়াদে কেবল এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনাই আমরা বিবেচনায় নিচ্ছি। দৈনিক টাইমফ্রেমে কারেকশন কিংবা ফ্ল্যাট রেঞ্জভিত্তিক মুভমেন্ট এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি, তবে প্রতি ঘণ্টার টাইমফ্রেমে যেকোনো স্থানীয় প্রবণতাকে পুনরায় বৈশ্বিক প্রবণতা শুরুর উপায় হিসেবে ধরা যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার, নতুন ট্রেডাররা 1.3259 লেভেলের আশেপাশে নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হতে দেখতে পারেন। এই লেভেল থেকে মূল্য রিবাউন্ড করলে শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে, যেখানে মূল্যের 1.3211-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। অন্যদিকে যদি মূল্য এই লেভেলের ওপরে কনসোলিডেট করে, তাহলে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে, যেখানে মূল্যের 1.3329-1.3331-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, আজ ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3096-1.3107, 1.3203-1.3211, 1.3259, 1.3329-1.3331, 1.3413-1.3421, 1.3466-1.3475, 1.3529-1.3543, 1.3574-1.3590।
বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই। ফলে, আজ মার্কেটে তুলনামূলকভাবে দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। তবে, যদি সত্যিই বৈশ্বিক পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হয়ে থাকে, তাহলে আজও ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।