Globální obchodní válka, kterou vyvolal americký prezident Donald Trump, se začátkem tohoto měsíce zintenzivnila poté, co oznámil zavedení rozsáhlých cel na většinu amerického dovozu, což vyvolalo obavy z recese, způsobilo nervozitu na světových finančních trzích a vyvolalo odsouzení ze strany lídrů po celém světě.
Dne 2. dubna, který Trump nazval „Dnem osvobození“, představil svůj plán zavést základní 10% clo na veškerý dovoz do Spojených států a také vyšší „reciproční“ cla na některé z největších obchodních partnerů země.
Základní 10% cla vstoupila v platnost 5. dubna, zatímco vyšší reciproční sazby budou účinné od 9. dubna.
Nová americká cla představují nejvyšší obchodní překážky za více než sto let.
গতকাল মার্কিন স্টক সূচকগুলোতে নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যে লেনদেন শেষ হয়েছে, যেখানে সাম্প্রতিক দরপতনের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। S&P 500 সূচক 0.79% হ্রাস পেয়েছে, এবং নাসডাক 100 সূচক 0.92% হ্রাস পেয়েছে। শিল্পখাত-ভিত্তিক ডাও জোন্স সূচক 0.94% হ্রাস পেয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন বাণিজ্য আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন, তখন নতুন করে আরোপিত শুল্কের পর সাময়িক স্বস্তি পেয়ে এশিয়ার স্টক সূচকগুলো সামান্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা কূটনৈতিক সমাধানের আভাসকে স্বাগত জানালেও, মার্কিন বাণিজ্য নীতির অস্থিরতা মার্কেটে সতর্ক মনোভাব বজায় রেখেছে। তবে এই স্বল্পমেয়াদি আশাবাদ মার্কেটের সামগ্রিক চিত্রকে আড়াল করতে পারছে না: নতুন শুল্ক ইতোমধ্যেই বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে বিঘ্নতা সৃষ্টি করছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে চাপের মুখে ফেলছে। কোম্পানিগুলো তাদের কৌশল পুনর্মূল্যায়ন করছে এবং বিকল্প সরবরাহকারীদের সন্ধান করছে, যা মার্কেটে আরও অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।
স্বল্পমেয়াদে বিনিয়োগকারীরা বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতির যেকোনো ইঙ্গিত সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। ইতিবাচক অগ্রগতি হলে স্বস্তিমূলক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা যেতে পারে, আর আলোচনায় স্থবিরতার ইঙ্গিত পাওয়া গেলে পুনরায় স্টক বিক্রির প্রবণতা শুরু হতে পারে।
তবুও জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে—যাদের উপর গতকাল নতুন করে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, এবং সামগ্রিক এশিয়ান সূচক 0.3% বেড়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ান ওন শক্তিশালী হয়েছে, এবং মার্কিন ডলার সূচক 0.2% কমেছে। ইউরোর দর 0.3% বেড়েছে এই প্রত্যাশায় যে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে 10% ভিত্তিক শুল্ক চুক্তির প্রস্তাব দিতে পারে।
সোমবার রাতের শেষভাগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আলোচনায় উন্মুক্ত থাকার মনোভাব পুনর্ব্যক্ত করেন এবং অন্তত ১ আগস্ট পর্যন্ত শুল্ক বৃদ্ধি স্থগিতের ঘোষণা দেন, যা বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ কিছুটা কমিয়েছে। এটি স্পষ্ট যে, বিনিয়োগকারীরা সর্বশেষ শুল্ক সংক্রান্ত ঘোষণাগুলোকে এখন চূড়ান্ত নীতির পরিবর্তে দরকষাকষির কৌশল হিসেবে বিবেচনা করছে।
বর্তমানে কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যারা সপ্তাহ শেষের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি প্রাথমিক বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য তৎপর। এমন একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে ১ আগস্টের পর 10% শুল্ক হারকে নিশ্চিত করবে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে 10% ভিত্তিক শুল্ক হার বজায় রাখার পাশাপাশি সংবেদনশীল খাতগুলোর জন্য শুল্ক ছাড় দেয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই প্রস্তাবটি পূর্ণমাত্রার বাণিজ্য যুদ্ধের সম্ভাবনার তুলনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, যা এতদিন ইউরোপীয় অর্থনীতির উপর বড় একটি অশুভ ছায়া ফেলেছিল। তবে মূল প্রশ্ন থেকে যায়: কোন কোন খাতকে "সংবেদনশীল" হিসেবে বিবেচনা করে নতুন শুল্ক থেকে ছাড় দেয়া হবে? এই প্রশ্নের উত্তরই ইউরোপের বিভিন্ন শিল্পখাতে চুক্তির প্রভাব নির্ধারণ করবে। কৃষি, গাড়ি উৎপাদন, ও ধাতবশিল্প ঐতিহ্যগতভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ খাত হিসেবে বিবেচিত হয় এবং বাজার বিশ্লেষকরা এসব খাতকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
S&P 500 সূচকের টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, আজ ক্রেতাদের স্পষ্ট লক্ষ্য হচ্ছে সূচকটিকে $6,245 লেভেল ব্রেক করিয়ে উপরের দিকে নিয়ে যাওয়া। এই লেভেল ব্রেক করা হলে $6,257 পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম তৈরি হতে পারে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লেভেল হচ্ছে $6,267—যদি এটি ব্রেক করা যায়, তবে বুলিশ প্রবণতা আরও জোরদার হবে। অন্যদিকে, যদি ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা হ্রাস পায় এবং সূচকটির দরপতন হতে শুরু করে, তাহলে ক্রেতাদের $6,234 লেভেল আশপাশে সক্রিয় হতে হবে। এই লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হলে সূচকটি দ্রুত $6,223 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে এবং আরও নিম্নমুখী হয়ে $6,211 লেভেল পর্যন্ত দরপতনের সম্ভাবনা উন্মুক্ত হতে পারে।