সোমবার কার্যত কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। অবশ্যই, জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচকের (আগস্টের দ্বিতীয় অনুমান) কথা উল্লেখ করা যেতে পারে, তবে আমরা নতুন ট্রেডারদের মনে করিয়ে দিচ্ছি যে দ্বিতীয় অনুমান সাধারণত প্রথম অনুমানের থেকে ভিন্ন হয় না। মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা মূলত প্রদত্ত মাসের প্রাথমিক সূচককেই বেশি মূল্যায়ন করে।
সোমবারের অন্যতম প্রধান ইভেন্ট হলো ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের ভাষণ, যা সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। সুতরাং দিনের বেলায় মার্কেটের সেন্টিমেন্টে প্রভাব ফেলবে এমন কিছু নেই। আজ লাগার্দের কাছ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতির আশা করা হচ্ছে না। বর্তমানে ইসিবির মুদ্রানীতি নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। মুদ্রানীতির নমনীয়করণ কার্যত সম্পন্ন হয়েছে। সর্বোচ্চ, ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি আরও কমে গেলে আরেকবার মূল সুদের হার কমানো যেতে পারে। তবে জার্মানির মুদ্রাস্ফীতির সর্বশেষ প্রতিবেদনে সূচকটি বৃদ্ধি পেয়ে 2.2%-এ পৌঁছেছে, তাই সমগ্র ইউরোজোনের এই সূচক বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেশি। যেকোনো ক্ষেত্রে, 2025 সালে ইসিবির সুদের হার হ্রাসের কারণে ইউরো কোনো সংকটের মধ্যে পড়েনি। তবে, ভবিষ্যতে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার হ্রাস শুরু করলে ডলার গুরুতর সংকটের সম্মুখীন হতে পারে।
ট্রেডারদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য যুদ্ধ। যেহেতু বাণিজ্য যুদ্ধ প্রশমনের কোনো লক্ষণ নেই, তাই মার্কেটে মাঝারি মেয়াদে ডলার ক্রয়ের কোনো কারণও নেই। গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর আরোপিত শুল্ক বৃদ্ধি করে 50% করেছেন। আগের মতোই, মার্কিন মুদ্রা কেবলমাত্র টেকনিক্যাল বিষয় বা বিচ্ছিন্ন কোনো ইভেন্ট/প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্থানীয় পর্যায়ে দর বৃদ্ধির ওপর নির্ভর করতে পারে, এর বেশি কিছু নয়।
সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে আবারও টেকনিক্যাল বিষয়ের ভিত্তিতে উভয় কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং করা হবে। ইউরোর মূল্য 1.1655–1.1666 এরিয়া থেকে বাউন্স করে ঊর্ধ্বমুখী হলে মূল্যের 1.1740–1.1750 রেঞ্জের দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা যেতে পারে। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য আবারও 1.3518–1.3532 এরিয়া থেকে বাউন্স করে ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে থাকতে পারে, যা নতুন ট্রেডারদের মূল্যের 1.3466–1.3475 লেভেলের দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ দেবে। মার্কেটে এখনও স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করছে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।